নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে পালানোর সময় প্রায় ৪০ জন রোহিঙ্গা নিয়ে একটি নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছে।শনিবার (১৪ আগস্ট) রাত সাড়ে ১১টার দিকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম।
তিনি জানান, শুক্রবার (১৩ আগস্ট) রাতে ভাসানচর ক্যাম্প থেকে নৌকা যোগে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে ৩০ থেকে ৪০ জন রোহিঙ্গা। তাদের নৌকাটি ভাসানচর থেকে ১৫ থেকে ২০ কিলোমিটার পূর্ব দিকে চট্টগ্রামের বঙ্গোপসাগরে পৌঁছলে ডুবে যায়। খবর পেয়ে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী, নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড সদস্যরা তাদের উদ্ধারে নামে।
এ পর্যন্ত ১৫ জন রোহিঙ্গাকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে চট্টগ্রাম চ্যানেলের মধ্যবর্তীস্থানে একটি কাঠের বোট (নৌকা) দেখতে পাওয়া গেছে।
ডুবে যাওয়া বোটটি শনাক্ত করেছে উদ্ধার কাজে নিয়োজিত আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। ওই বোটের পাশে নৌ বাহিনীর একটি জাহাজ নোঙর করা হয়েছে। ভোর থেকে ডুবন্ত বোটটি উদ্ধারে অভিযান চালাবে নৌ বাহিনীর সদস্যরা।
তিনি আরও জানান, উদ্ধারকৃত রোহিঙ্গাদের মধ্যে আব্দুর রহমান নামের একজন ফিশিং ট্রলারে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া এলাকায় চলে গেছে। বর্তমানে সে সাতকানিয়ার কেচিয়া গ্রামের নূর সালামের বাড়িতে রয়েছে।
নৌকা ডুবির ঘটনায় আব্দুর রহমানের পাঁচ সন্তান এখনো নিখোঁজ রয়েছে। তারা হলো সুপাইরা (৮), কিসমত আরা (৬), ফেরদৌস (৫), সকিনা (৪), নুর আয়েশা (৩ মাস)। তার সবাইল ভাসানচরের ৫০ নং ক্লাস্টারের সি -৭/৮ রুম এফসিএন-১৯২৩৫ তে থাকতো।